নিজস্ব প্রতিনিধি:
লবণ উৎপাদনের মৌসুম চলছে। কাগজে কলমে, লবণের মৌসুম ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পাঁচ মাস স্থায়ী হয়। ঝড় না হলে লবণের মৌসুম আরও ১৫-২০ দিন স্থায়ী হয়। গত অক্টোবর থেকে ৬ মে পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে ২১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। বৃষ্টিবিহীন সময় বেশি থাকলে অন্তত অর্ধ মিলিয়ন মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হতে পারে।
দেশের চাহিদার সমান লবণ উৎপাদন করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। ৬২ বছরের বাণিজ্যিক লবণ চাষের ইতিহাস ভেঙ্গে এবার ২১ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০২২) সবচেয়ে বেশি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। চলতি মৌসুমে জেলা সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী ও চকরিয়ায় ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ৬ মে পর্যন্ত ২১ লাখ ৭৫ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। গত মৌসুমে এই সময়ে ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল। এ হিসাবে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে তিন লাখ মেট্রিক টন বেশি লবণ উৎপাদিত হয়েছে।
গত বছর আবাদি জমি ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বেড়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণচাষীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। যা গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। এ বছর লবণ চাষি বেড়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।