নিজস্ব প্রতিনিধি:
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (ইকে-৭৬৫) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘ চার বছর পর সম্মেলনের সাইডলাইনে বুধবার (২৩ আগস্ট) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তার।
হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে আজ বিকেলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সম্ভাব্য বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমাদের অব্যাহত চাপের মধ্যে এই দুই নেতার বৈঠক ‘বড় বার্তা’ দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা না থাকলেও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে বার্তা আসতে পারে।
এদিকে, আজ সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জোহানেসবার্গের গ্যালাঘের এস্টেটে বর্তমান ব্রিকস চেয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের দেওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন।
উল্লেখ্য, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত ব্রিক্স দেশগুলোর এই ঐতিহাসিক ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাব এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী বিধিনিষেধের পর এটিই হবে সশরীরে অংশগ্রহনের মাধ্যমে প্রথম ব্রিক্স শীর্ষ সম্মেলন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।