তথ্য ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে। কারণ স্মার্টফোনে একাধিক অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এটিতে ফটো এডিটিং থেকে সোশ্যাল মিডিয়া কী নেই? এসব স্মার্টফোন অ্যাপের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে কোন অ্যাপগুলো বেশি জনপ্রিয়।
ফেসবুক:
ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে সুপরিচিত। মেটা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.০৩ বিলিয়ন হবে। এত বেশি ব্যবহারকারী আনতে মেটাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অপব্যবহার ঠেকাতে জনপ্রিয় এই অ্যাপে দিন দিন নতুন নতুন ফিচার যোগ করছে ফেসবুক।
হোয়াটসঅ্যাপ:
হোয়াটসঅ্যাপও সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। বর্তমানে এটির ২.৭ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে অনেকেই এই অ্যাপটিকে পছন্দ করেন। এছাড়াও এই অ্যাপটির অডিও-ভিডিও কল কোয়ালিটি খুবই ভালো এবং নিরাপদ। তাই এই অ্যাপটির জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এর কর্তৃপক্ষ নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে।
ইউটিউব:
ইউটিউব বর্তমানে টেক জায়ান্ট গুগলের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। এটির ২.৭ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। প্লাটফর্মটি দিন দিন উন্নতি করছে। শুধু বিনোদনের জন্যই নয়, অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। এই প্ল্যাটফর্মে, আপনি খুব সহজেই সিনেমা, গান, নাটক থেকে যেকোনো বিষয়ের ভিডিও পেতে পারেন।
টিকটক:
টিকটক বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে একটি খুব জনপ্রিয় অ্যাপ। বিভিন্ন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটিতে। টিকটককে ঘিরে প্রায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তবে এই অ্যাপটির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
ইনস্টাগ্রাম:
আজকাল ইনস্টাগ্রাম একটি খুব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ইনস্টাগ্রাম রিল সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। রিলে প্রিয়জনের সাথে কাটানো একটি মুহুর্তের ভিডিও শেয়ার করা। অনেক ব্যবহারকারী রিল ভিডিও থেকে প্রতি মাসে শত শত টাকা আয় করছেন। এই অ্যাপটির চাহিদা বর্তমানে আকাশচুম্বী।
মেসেঞ্জার:
মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপের মতোই খুব জনপ্রিয়। এই অ্যাপটিতে অডিও-ভিডিও কলিং, মেসেজ-ভয়েস মেসেজ সুবিধা রয়েছে। আছে গ্রুপ চ্যাট করার সুবিধা। ভিডিও কলে ফিল্টার ব্যবহার করার একটি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
বেশিরভাগ লোকের ফোনে টুইটার, নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের মতো অ্যাপ রয়েছে। তাছাড়া, ইনশট এবং পিকাসার্টের মতো এডিটিং অ্যাপগুলোও আজকাল বেশ জনপ্রিয়।