তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এখন আমেরিকায়

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এখন আমেরিকায়

আন্তর্জাতিক

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বর্তমানে আমেরিকায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকারের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে। চীন এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং-ওয়েন বুধবার (২৯ মার্চ) নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন।

তবে তাইওয়ানের প্রশাসন জানিয়েছে, নিউইয়র্কে প্রেসিডেন্টের যাত্রাবিরতি। তিনি মধ্য আমেরিকার দুটি দেশ সফর করবেন। এর মধ্যে গুয়াতেমালাও রয়েছে। তাইওয়ানকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গুয়াতেমালা।

তাইওয়ানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আগামী শনিবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত নিউইয়র্কে থাকবেন।মাঝে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া যেতে পারেন।লস এঞ্জেলেস যেতে পারেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

যদিও এই বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের আমেরিকা সফরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। চীন সরকার স্পষ্ট করে বলেছে যে যদি সাই-ইং-ওয়েন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকারের সাথে দেখা করেন তাহলে এর ফলাফল ভালো হবে না।

চীন চরম পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ওয়াশিংটনে চীনা রাষ্ট্রদূত পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন কংগ্রেসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কয়েকদিন আগে তাইওয়ান সফর করেছিলেন। এত উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা এর আগে কখনও তাইওয়ান সফর করেননি। সেই সফর নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। তাইওয়ানের উপকূলে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এবারও তারা একই কাজ করতে পারেন।
আমেরিকা অবশ্য এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি। চীন তাইওয়ানকে এক চীন নীতিতে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তাইওয়ান এবং হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তারা তাইওয়ানকে আলাদা দেশের মর্যাদা দিতে নারাজ।

কিন্তু তাইওয়ান পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন পায়। তাদের সাথে তাইওয়ানের আলাদা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, চীন তাইওয়ানে হামলা চালালে আমেরিকা চুপ করে বসে থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *