নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি আলু ও পেঁয়াজের দামও নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে। ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম পড়বে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। এটি ভোক্তা অধিকার ক্ষেত্র থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সয়াবিন তেলের দাম পাঁচ টাকা কমে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলু, পেঁয়াজ এবং ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। আমরা এখন ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, নতুন টিসিবি কার্ড করা হচ্ছে। আমরা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) ৫০ লাখ পরিবারের জন্য কার্ড তৈরি করেছি। এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকিগুলো শীঘ্রই পাওয়া যাবে। কার্ডের কাজ চলছে।
দেশে সাড়ে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দিচ্ছি। অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষ এই সেবার অন্তর্ভুক্ত। একটি পরিবার গড়ে পাঁচজন সদস্য নিয়ে গঠিত। তারপরও যদি কোনো দরিদ্র মানুষকে টিসিবি সেবা থেকে বাদ দেওয়া হয়, আমরা বিষয়টি দেখব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি বছরের আগস্টে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ১২.৫৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে খাদ্যের দাম রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, শাকসবজি, মসলা ও তামাকজাত দ্রব্যের দাম বেড়েছে এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। ২০২০ সালে খাদ্য খাতে ১০০ টাকার পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা। ২০২৩ সালের আগস্টে একই পণ্য বেড়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা।