জুয়েল রানা, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ব্রীজের এপ্রোস সড়ক ধ্বসে যাচ্ছে। ফলে হাজারো মানুষের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র পানির স্রোতে সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের চারাবাড়ি ধলেশ্বরী নদী এসডিএস সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ভেঙে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তিতে পড়েছে। এতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ধলেশ্বরী নদীর উপর প্রতি বছরই এই ব্রীজের পাশেই মাটি কাটার ধুম পড়ে। যার কারনে বন্যা আসলেই ব্রীজটি ঝুকিতে পড়ে। প্রতি বছরই এই ব্রীজের পাশে মেরামত করা হয়। এই ব্রীজ দিয়ে হুগডা, কাকুয়া, মাহমুদনগর, পোড়াবাড়ি ও কাতুলীসহ পাশ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী ইউনিয়নের মানুষও চলাচল করে।
স্থানীয়রা বলেন, সকাল হলেই আমাদের এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে হয়। শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটিই। ব্রীজ এত টাকা খরচ করে সরকার আমাদের চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই ব্রীজটির পাশে যদি কোন স্থায়ী বাঁধ না হয় তাহলে প্রতি বছরই এই ভোগান্তি হবে। পাশেই আমাদের তোরাপগঞ্জ সেখান থেকে পরিবহনের ষ্ট্যান্ড সেটি আজ থেকে বন্ধ হল। তাই দ্রুত মেরামতের কাজ করে যোগাযোগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি।
রাজ্জাক নামে একজন বলেন, চলাচলে অনেক কষ্ট। ২ দিন ধরে এই রাস্তায় চলাচল করতে পারি না।
এবিষয় কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন বলেন, প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে ব্রীজের পাশে মাটি কাট হয়। যার কারনে ব্রীজের পাশে প্রতি বছরই ভেঙে যায়। এই ব্রীজ দিয়ে যে সমস্ত যানবাহন চলাচল করতো সেটি ১২ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বন্ধ হয়েছে। তিনি আরো বলেন গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারনে ব্রীজের পাশে নদীর পানির চাপে ভেঙে যায়।
এবিষয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হাসান বিন আলী বলেন, আমরা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শন থেকে এসে অনুমতির জন্য উর্ধতন কর্মকতাদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইাতমধ্যে ২০০জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। সেখানে দ্রুত ২০০০ জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে আজকের মধ্যেই।