আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (৫১) এবং তার স্ত্রী সোফি (৪৮) এর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। জাস্টিন ট্রুডো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফলে তাদের ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে।
ইন্সটাগ্রাম পোস্টে এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা ‘একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতো থাকবেন,যার ভিত্তি হবে ভালোবাসা ও সম্মান’।
পোস্টের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। ট্রুডো দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানা গেছে। জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফি মে ২০০৫ এর শেষে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
ট্রুডো-সোফির বিবাহিত জীবন অনেকের কাছে ‘ঈর্ষনীয়’ ছিল। এ নিয়ে হরদম চর্চাও লক্ষ করা গেছে। ট্রুডো-সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ে নিয়ে আগেও অনেক প্রতিবেদন হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোফির সাথে ট্রুডোর দেখা-প্রেম-বিয়ের গল্প ছিল অসাধারণ। ছোটবেলা থেকেই তারা একে অপরকে চিনত। কারণ সোফি ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের সহপাঠী ছিলেন। এমনকি ছোটবেলায় সোফি ট্রুডোর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন এবং আড্ডা দিতেন।
ট্রুডো তাদের প্রথম ডেটের এক বছরেরও বেশি সময় পরে সোফিকে প্রস্তাব দেন। ২৮ মে, ২০০৫ তারিখে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে তিনটি সন্তান রয়েছে। এই দম্পতি তাদের তিন সন্তানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তাদের তিন সন্তান হচ্ছে জ্যাভিয়ার (১৫), এলা গ্রেইস (১৪) এবং হার্ডিন (নয়)।
৫১ বছর বয়সী ট্রুডো এবং ৪৮বছর বয়সী সোফি গ্রেগরি ট্রুডোকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একত্রে খুব কম গেছে। রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক এবং গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্যানাডায় স্বাগত জানানোর সময় একত্রে দেখা গেছে।
জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন ক্যানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। ছয় বছর একসাথে থাকার পর ১৯৯৯ সালে পিয়েরে ট্রুডো এবং মার্গারিট ট্রুডো বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন।