নিজস্ব প্রতিনিধি:
বলিউড এর জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান। তিনি বলিউড ভাইজান নামেও পরিচিত। বলিউডের কোনো ছোট বড় অনুষ্ঠান হোক বা বড় পর্দার কোনো ছবি হোক , যাই হোক না কেন তার হাতে সবসময় একটি ব্রেসলেট দেখা যায়। সালমান খান রয়েছেন অথচ তার হাতের সেই ব্রেসলেটটি নেই তা কখনো হতেই পারে না।
সালমানের হাতের ব্রেসলেটে রয়েছে একটি ফিরোজা রঙের পাথর। আজকে আমরা জানবো এই ফিরোজা পাথরটি সম্পর্কে।
পারস্যের জাতীয় রত্ন হলো ফিরোজা পাথর। এই রত্ন পাথরটিকে সংস্কৃতে পায়বজ, ফারসীতে ফিরোজা এবং ইংরেজীতে টারকোয়েস বলে। ইসলামী ধর্মাবলম্বীরা এই রত্নটিকে সর্বোৎকৃষ্ট রত্ন বলে কন্ঠ ভূষন করে রাখেন এবং খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এই রত্নকে শুভদায়ক মনে করেন। বর্ণের দিক থেকে এটি সাধারনত সবুজ অথবা উজ্জ্বল আসমানী নীল রঙের হয়ে থাকে। ‘পারস্য মাকড়সা জাল’ নামে বিখ্যাত এক ধরণের ফিরোজা পাথরের ওপর সরু কালো রেখা জাল বিস্তৃত থাকে এবং এর পশ্চাৎ অংশ অমসৃণ ও কিছুটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা হয়ে থাকে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ফিরোজা রত্ন পাথরের অনেক গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছে- ফিরোজা পাথর জাদুটোনা, শয়তান, বিষাক্ত পোকামাকড় ও কু দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। যদি কেউ ঘুম থেকে উঠেই ফিরোজা পাথর দেখে থাকে তাহলে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদে থাকবেন। মহান আল্লাহ তাকে সকল প্রকার বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। ফিরোজা পাথর চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। হয়রানি থেকে রক্ষা করে, বিষণ্নতা দূর করে। ফিরোজা পাথর ব্যবহারে মনের শক্তি বৃদ্ধি পায়। চিন্তা শক্তি এবং অন্তর্দৃষ্টি প্রখর হয়ে থাকে। ফলে চিন্তা চেতনা আগের থেকে পরিষ্কার ও প্রখর হয়ে থাকে।
ঠিক এরকম কিছু তথ্য সালমান খানের মুখেও শোনা যায়। তিনি জানান, মূলত ছোটবেলা থেকেই তিনি তার বাবা সেলিম খানকে এই ধরনের নীল পাথরের ব্রেসলেট পরতে দেখেছেন। সেলিম ওই ব্রেসলেট বেশির ভাগ সময় পরতেন। আর বাচ্চাদের যেমন হাতের কিছু নিয়ে খেলা শুরু করার প্রবণতা থাকে, ছোটবেলায় তিনিও সেটাই করতেন। কিন্তু তার কাছে খেলার জিনিস ছিল বাবার হাতের ব্রেসলেট।
সালমানের মতে, এই ব্রেসলেটের মধ্যে নীল রঙের যে পাথর রয়েছে, তার বিশেষ ভূমিকা আছে অভিনেতার জীবনে। এই পাথরের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে বলেই তা দিয়ে ব্রেসলেট তৈরি করেছেন সালমান।
সালমান বলেন, আমার জীবনে যদি কখনও নেতিবাচক ভাব প্রবেশ করতে চায়, তা হলে বাধা দেবে এই পাথর। ব্রেসলেটের পাথরের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে ‘নেগেটিভিটি’ বা নেতিবাচকতাকে আটকে ফেলার। এমনকি পাথরের মধ্যে শিরার মতো ডিজাইন করা রয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে এই নেতিবাচকতা ভেঙে ছড়িয়ে যায় পাথরের মধ্যে এবং সেই সময়েই পাথরটি নিজে থেকে ভেঙে যায়!
সালমানের ব্রেসলেটে বর্তমানে যে পাথরটি রয়েছে সেটি সপ্তম পাথর। এদিকে অনেকের দাবি, দিনের যেকোনো সময়ে ‘ফিরোজা’ পাথর ধারণ করা যায় না। তাদের মতে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে এই পাথর ধারণ করলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়।