জনগণের ভোটাধিকার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছি:ফখরুল

জনগণের ভোটাধিকার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছি:ফখরুল

জাতীয় রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারুণ্যের মিছিলে রাজপথে নেমেছি। জনগণ সরকারকে একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না। সরকারকে হটাতে এক দফা আন্দোলন জোরদার করতে হবে। বিএনপি ও শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সংগঠিত নির্বাচনে যাবে না।’

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির ছাত্রদলের উদ্যোগে এই রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

রোডমার্চ উপলক্ষে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বগুড়া সদরের এরুলিয়া হাট চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে নির্মূল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ অসহায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। চালের দাম, তেলের দাম, লবণের দাম সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দামও বেড়েছে অনেক। কিন্তু বিদুৎ মানুষে পায় না। লোডশেডিং হতেই আছে। কৃষিকাজের সেচ দিতে পারে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি আজ ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে। রিজার্ভ কমছে। এ কারণে অর্থনীতিতে গতি নেই। আজকে এই তরুণেরা সবচেয়ে ভুক্তভোগী। তারাই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশের জনসংখ্যা ও তাদের এখন চাকরি নেই।’

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার বিগত ১৫ বছরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই আমরা বারবার আমাদের দাবিগুলো শান্তিপূর্ণভাবে তুলে ধরবার চেষ্টা করছি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আপনারা ভোট দিতে পেরেছেন? পারেননি। ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে জনগণ ভোট দিতে পারে না, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে না। শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঘোষণা দিয়েছে যে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলছে তাদের অধীনে আগের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়েছে, এবারও সুষ্ঠু হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আমি ২০১৪ সালে দেখেছি, ২০১৮ সালে দেখেছি। আজকে বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না বিরোধী আন্দোলনকারী দলগুলোকে।’

উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জাতীয়তাবাদী স্বচ্ছসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, জাতীয়তাবাদী স্বচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ। রোডমার্চ কর্মসূচি। সাইফ মাহমুদ, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ অনেকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *