মাধবপুর প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মনতলা আঞ্চলিক সড়কের কৃষ্ণপুর এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে দুই বছর ধরে। বিকল্প একটি কাঠের সেতু দিয়ে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে ও তিন চাকার যান দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন অন্তত তিন হাজার মানুষ। এতে নানা ধরণের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসীসহ ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা।
যদিও এলজিইডি বলছে, দ্রুত কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর থেকে মনতলা আঞ্চলিক সড়কের কৃষ্ণপুর এলাকায় ছড়ার উপর পুরনো ব্রীজটি ভেঙে গেলে নতুন করে ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের শুরুতে ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। কাজ পায় হাসান কনস্ট্রাকশন নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে কাজটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২২ সালে শুরু হলেও আবারও অদৃশ্য কারণে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরেও বীজ নির্মাণ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন জগদীশপুর, শাহজাহানপুর চৌমুহনী ও বহরা ইউনিয়নের জনসাধারণ। ইউনিয়ন চারটি শীতকালিন সবজির জন্য বিখ্যাত। অথচ এই ব্রীজটির কারণে এখানে উৎপাদিত পন্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সীমাহীন দূর্ভোগের পাশাপাশি বাড়ছে খরচও।
৩নং বহরা ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত নম্বরে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
হবিগঞ্জের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাছির জানান, করোনা ও অর্থ সংকটের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে দ্রুতই কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।