চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

জেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণের মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সকালে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-এর যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রোকনুজ্জামান সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিছুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলী, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য অফিসার মাহবুবুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবাব হাইটেক মৎস্য খামারের মালিক ও উদ্যোক্তা আকবর হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সফল মৎস্য চাষি, উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।এর আগে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জলাশয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করেন অতিথিরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন মৎস্যচাষী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।
জেলা মৎস্য অফিসার জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মৎস্যচাষি রয়েছে ৬ হাজার ৫৫৪ জন, মৎস্যজীবী রয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৫ জন, সরকারি পুকুর রয়েছে ৩ হাজার ১৬টি এবং বেসরকারি ৮ হাজার ৫৩৩টি। বিল আছে ৬৩টি, প্লাবনভূমি ৬৯টি, খাল আছে ৩৫টি এবং নদী আছে ৪টি।

তিনি আরো জানান, জেলায় মোট মাছের চাহিদা হচ্ছে ২৫ হাজার ৭৬৭ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২০ হাজার ৮৬১ মেট্রিক টন মাছ। ঘাটতি থাকছে ৪ হাজার ৯০৬ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, জেলার নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৮৫ জন। তাদের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৬২৪ জনকে ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত আয়বর্ধক উপকরণ দেয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জনবল ঘাটতি নিয়েই কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এতে কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ঠিকমতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *