নিজস্ব প্রতিনিধি:
গত কয়েক মাস ধরে দেশে সব ধরনের চিনির দাম বেড়েছে। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও প্যাকেটজাত চিনি বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে যাচ্ছে ভারত। গত ৭ বছরে প্রথমবারের মতো এই পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।
ভারতের নতুন মৌসুম অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে এবং সেই সময় থেকে মিলগুলিকে চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হবে, দেশটির তিনটি সরকারী সূত্র জানিয়েছে।
ভারত সরকার সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির অভাবে আখের ফলন কমে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মনে করা হচ্ছে, ভারতের এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্ববাজারে পর্যাপ্ত চিনির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এই পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে, যা বিশ্ব খাদ্য বাজারে আরও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করছে।
একটি ভারতীয় সরকারী সূত্র সরকারী প্রবিধানের কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ‘আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল চিনির স্থানীয় চাহিদা মেটানো এবং উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল তৈরি করা। আগামী মৌসুমে রপ্তানি কোটায় বরাদ্দ করার মতো পর্যাপ্ত চিনি আমাদের কাছে থাকবে না।’
এর আগে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ছুঁয়েছে শতক। বাজার ব্যবধানে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দাম কমাতে ভারতের বিকল্প রপ্তানিকারক হিসেবে চীন, পাকিস্তান, মিসর, তুরস্ক, কাতার, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাতটি দেশ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে দেশে।