খরচ বাড়ায় ধীরগতিতে এগোচ্ছে হজ্বের নিবন্ধন

খরচ বাড়ায় ধীরগতিতে এগোচ্ছে হজ্বের নিবন্ধন

জাতীয় ধর্ম

নিজস্ব প্রতিনিধি:
চলতি বছরের হজযাত্রীদের নিবন্ধন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের সময়সীমা ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি, তবে তা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। কিন্তু কোটার বিপরীতে খুব কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন।এবার সবচেয়ে বেশি খরচে হজ করতে হচ্ছে, বিমান ভাড়াও গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা বেশি। তাই হজ এজেন্সি, হজযাত্রীরা একটু ধীরগতিতে এগোচ্ছেন। অনেকে পরিস্থিতি গভীরভাবে দেখে তারপর হজে যাওয়ার চূড়ান্ত ধাপে নিবন্ধন করতে চান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
এবার বিমান ভাড়া কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সরকার। নিবন্ধন ধীরগতির হলেও হজযাত্রীদের কোটা পূরণে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও এজেন্সি মালিকরা। তারা বলে যে হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধিত লোকের চেয়ে বেশি লোক যেতে পারে। মানুষ প্রতিদিনই প্রাক-নিবন্ধন করছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময় খুব কম ছিল। এখন হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া মার্চ মাস জুড়ে চলতে পারে। শেষ সময়ে হয়তো নিবন্ধনের চাপ বেশি থাকবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ২৭ জুন (৯ই জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১২ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজের নিয়ম রাখা হয়েছে। সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত বছর সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ অনুষ্ঠিত হয়। প্যাকেজ-১-এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা, প্যাকেজ-২-এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার বেসরকারি হজে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৪ টাকা। এজেন্সি মালিকরা জানান, অতিরিক্ত খরচের কারণে প্রাক-নিবন্ধন করা সত্ত্বেও অনেকেই হজে নিবন্ধন করছেন না। ক্রমবর্ধমান ব্যয়ও ধীরগতির নিবন্ধনের অন্যতম কারণ বলে তারা জানিয়েছেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘হজ নিবন্ধন শুরু হয়েছে। একটু ধীরে চলছে। আমরা আশা করি কোটা পূরণ হবে। হজ এজেন্সিগুলো থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারা নিবন্ধন করছে, কিন্তু তা ধীরগতির।’ তিনি আরও বললেন, ‘টাকা একটু বেশি, বিমান ভাড়া বেশি। অনেকে চাইলেও যেতে পারেন না। কিন্তু তাতে কোটা পূরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। তবে রেজিস্ট্রেশনের সময়টা আরেকটু বাড়াতে হবে।’  হজ নিবন্ধন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। অনেক হজযাত্রী আছে। কিন্তু নিবন্ধন ধীরগতির। কারণ এজেন্সি মালিকরা একটু অপেক্ষা করছেন, পরিস্থিতি দেখছেন। হজযাত্রীরও একটু দেখছেন। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাতে চাই যে এবার বিমান ভাড়া কমানোর কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এটি কমাতে যা যা করা সম্ভব করেছি, “অতিরিক্ত সচিব বলেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *