গাজীপুর প্রতিনিধি:
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও গাজীপুর নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোড়-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ইসলামপুরে ভাঙ্গা সেতু খ্যাত ডংকার বিলে সেতু নিমার্ণ না হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। গাজীপুর সিটির নাওজোড়-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে শিল্পকারখানার শ্রমিক ও শিক্ষার্থী চলাচল করে। পায়ে হেঁটে ও বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের নাওজোড় থেকে কাশিমপুরে যেতে হয়। যারা যানবাহনে কাশিমপুর যেতে চান তাদেরকে কোনাবাড়ির যানজট ঠেলে ৬কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড়-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকার ডংকা বিলের ওপর। সেতু না থাকায় এ পথে যানবাহন চলতে পারে না। ফলে ওয়ার্ডের নাওজোড় থেকে স্থানীয় ব্যক্তিদের কাশিমপুরে যেতে প্রতিদিন সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোর অংশে নৌকা দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। আশপাশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেও সড়কটির কাশিমপুর অংশে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
কথা হয় নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোচালক আমান উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর ধরে ভাঙ্গা সেতু দেখছি, ইসলামপুর ডংকার বিলের ফেউসারঘাড়া এলাকায় ব্রীজ নিমার্ণ না হওয়ায় কাশিমপুরের সাথে যাতায়াতে কষ্ট করতে হয়। সিটি করপোরেশনের বয়স দশ বছরের বেশী হলেও এখন পর্যন্ত সেতু তৈরী করলো না। স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহীম মিয়া বলেন, নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কাশিমপুর এলাকা। ইসলামপুর এলাকায় ভাওয়াল রাজাদের আমলে একটি সেতু ছিল, যা অনেক আগেই ভেঙে গেছে। সেতু নিমার্ণ হলে ইসলামপুর, নাওজোড়, কড্ডা, কাশিমপুরের বিশাল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং শিল্পকারখানার হাজার হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে ডংকার বিল পাড়ি দেয়।
রংপুরের বাসিন্দা মোতালেব মিয়া কাজ করেন ইসলামপুর এলাকার একটি কারখানায়। তিনি পায়ে হেঁটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কাশিমপুর হয়ে যাবেন আশুলিয়া। তিনি বলেন, এখানে সেতু থাকলে দ্রুত চলে যেতে পারতাম। তিনি আরো বলেন, কোনাবাড়ী হয়ে আশুলিয়া যাতায়াত করা যায়, তবে সময় বেশি লাগে।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোয়েব আল আসাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান কাজল বলেন, রাস্তা ও সেতু নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন, শীগ্রই টেন্ডার আহবান করা হবে।