কালীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মনোরম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পারাবর্তা গ্রামে যা এখন ঢাকার পূর্বাচল শহরের ২৫ নং সেক্টরে অবস্থিত। এই অপার সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রেমিদের মনের খোরাক মেটানোর পাশাপাশি কাশবন বিরাট ভূূমিকা রাখছে চরাঞ্চলের হতদরীদ্র মানুষের জীবন-জীবিকায়।
শরতের বিকেলে স্নিগ্ধ বাতাসে নীল আকাশে খন্ড খন্ড সাদা মেঘ। ধুধু বালুচরে কাশফুলের বিছানা। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি। ঢাকার পূর্বাচল ছাড়াও কালীগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীর অববাহিকায় দেখা মেলে এমন মনোহর দৃশ্যের।
আবহমান বাংলার চিরস্তন ঐতিহ্য আর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য হয়ে প্রতি বছর এই ঋতুতে গ্রাম-গঞ্জ-শহরের জনপদের আনাচে-কানাচে ফুটে থাকে কাশ ফুল। দূর থেকে ফুলটিকে দেখলেই বুঝা যায় এখন চলছে শরৎকাল।
পাকা রাস্তার পাশ দিয়ে নীরবে বয়ে যাওয়া ছড়াটি কাশফুলে সৌন্দর্যে নিজেও সুজজ্জিত হয়ে রয়েছে। মৃদু বাতাসের পরশে কাশের দল বারবার যেন মাথা নেড়েই চলেছে। ক্ষণিকের জন্য শহরের কোলাহল ছেড়ে নদী, বালুচর, সাদা মেঘ ও কাশফুলের এই মিতালি দেখে অভিভূত হন প্রকৃতি প্রেমিরা। উপভোগ করতে ছুটে আসে দূর-দূরান্তের মানুষ।
অনেকেই বেড়াতে আসেন পরিবারসহ। অবসরে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে শেষ বিকেলের আলোয়। চর অঞ্চলে কাশ ফুলের মাঝে মুক্ত প্রকৃতি মনকে সিক্ত করে তুলে।
বিনা যত্নে বেড়ে উঠা কাশবন গজায় আপনি হতেই। কাঁচা কাশ গাছ যেমন গরুর খাবারের জোগান দেয়, তেমনি শুকনো কাশ গাছের খড় দিয়ে তৈরি হয় ঘরের ছাউনি। জ¦ালানি হিসাবে ব্যবহার হয় কাশ গাছের নাড়ার অংশ।
রাজধানী ঢাকার খুবই নিকটবর্তী গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পারাবর্তা গ্রাম। যা এখন ঢাকার পূর্বাচল শহরের ২৫ সেক্টরে অবস্থিত। চারিদিকে শুধু কাশফুল আর কাশফুল এ যেন কাশফুলর মহাসমুদ্র সেজে বসেছে।
কাশ ফুলের তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কাশ শরৎ ঋতুর ফুল। কাশফুল মূলত দু’ ধরনের। পাহাড়ি কাশ (জবাবহহধ এৎধংং) এবং চর অঞ্চলের কাশ (কধহং এৎধংং)। এর কোনো সুগন্ধ নেই। প্রায় মাসব্যাপী ফুটে থাকে ফুলটি।
উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের মতে ‘কাশফুল’ ঘাসফুল জাতীয় ফুল। এর মঞ্জুরি (ডাটা) অনেক লম্বা হয়ে থাকে। মঞ্জুরির মাথা অনেকগুলো শাখা থাকে। সেই শাখা পূর্ণ হলেই ফুল ফোটে। ফুলটি দেখতে ছোট কিন্তু মঞ্জুরিবদ্ধ হওয়ায় দূর থেকে সহজেই আমরা দেখতে পাই।