করোনায় আয়ুষ্কাল কমে গেছে প্রায় ৩৩৭ মিলিয়ন বছর: ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন

করোনায় আয়ুষ্কাল কমে গেছে প্রায় ৩৩৭ মিলিয়ন বছর: ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনা মহামারীর প্রথম দুই বছরে লাখ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারিয়েছে। এতে সামষ্টিক জীবন আয়ুষ্কাল কমেছে প্রায় ৩৩৭ মিলিয়ন বছর।

শুক্রবার (১৯ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আন্তর্জাতিক বার্ষিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে।

বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা দুই কোটির কাছাকাছি হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ এবং ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনায় ৫.৪ মিলিয়ন নিশ্চিত মৃত্যুর রেকর্ড করেছে। তবে সম্ভাব্য মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে তারা যে পরিসংখ্যান তৈরি করেছে তাতে বলা হচ্ছে, করোনার কারণে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ হতে পারে।

মাতৃমৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ এবং শিশুমৃত্যু ৫০ শতাংশ কমেছে। এইচআইভি, যক্ষ্মা এবং ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগগুলিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায়, বিশ্বের মানুষের গড় আয়ু ২০২০ সালে ৬৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে।
করোনাভাইরাস-পরবর্তী, উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবার বৈষম্য সহ বিভিন্ন কারণে ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা রোগের অগ্রগতির প্রবণতা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।

ডব্লিউএইচও এর পরিসংখ্যান অনুসারে, মাত্র দুই বছরে করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী ৩৩.৬৮ মিলিয়ন আয়ুষ্কাল বছর হারিয়ে গেছে। যদি তারা সবাই বেঁচে থাকত, তাহলে মোট আয়ু হতো ৩৩.৬৮ মিলিয়ন বছর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী প্রধান সামিরা আসমা বলেন,প্রতিটি মৃত্যুর ক্ষেত্রে গড়ে ২২ বছর করে জীবনবর্ষ নষ্ট হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *