কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসার সামরিক কমান্ডারসহ আটক ৬

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসার সামরিক কমান্ডারসহ আটক ৬

অপরাধ

নুর মোহাম্মদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং এর আরসার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ ৬ জন আরসা সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫। এ সময় একটি এমএম পিস্তল, একটি বিদেশী রিভলবার, একটি শর্টগান ও চারটি দেশীয় এলজি, তিনটি রামদা, গোলাবারুদ ও নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ জুলাইশুক্রবার দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৫, আজ দুপুরে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি দল টেকনাফের গহীন পাহাড়ে আরসা সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আরসা কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাহারছড়া ও শাপলাপুর এলাকা হতে আরসার অন্যান্য সন্ত্রাসী ধলা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হোসেন জোহার (৩০), ওবাইদুর রহমানের পুত্র মো: ফারুক প্রকাশ হারেস (২৩), জমলুক এর পুত্র মনির আহাম্মদ (৩৬), অলি আহম্মদ এর পুত্র নুর ইসলাম (২৯), সোহেন এর পুত্র মো:ইয়াছিন (২১) পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা)’সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এ সকল খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে; যার কারণে শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় এলাকাবাসীকে সবসময় ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। ওই ঘটনাসমূহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে সকল সন্ত্রাসী গ্রুপ, শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আটক হাফেজ নূর মোহাম্মদ উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা। তিনি আরসার সামরিক কমান্ডার। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
আল মঈন বলেন, গত বছরের নভেম্বরে মাদক বিরোধী অভিযানে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে হাফেজ নুর সরাসরি জড়িত। ক্যাম্পে হত্যাকান্ডসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে আটক আরসা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরসার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে খুন ও অপহরণসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *