নিজস্ব প্রতিনিধি:
২২ হাজার ১০১ পরিবারকে জমিসহ নতুন বাড়ি হস্তান্তর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আমার বাবা-মা, ভাই-বোনকে হারিয়েছি। আমি ১৯৮১ সালে এসে এদেশের মানুষকে আমার মানুষ হিসেবে পেয়েছি। আমি তাদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া বাবা-মা এবং ভাইবোনদের খুঁজে পেয়েছি। আমার আর কিছু পাওয়ার নেই। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার (৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় বাড়ি হস্তান্তরকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন উপজেলায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং উপকারভোগীদের কাছে বাড়িসহ জমি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্র, অসহায়, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও নতুন ঘর দিচ্ছি। আমরা প্রাথমিক সহযোগিতা করেছি। বাকি জীবনের জন্য জীবিকা নির্বাহ করা আপনাদের দায়িত্ব। আমরা চাই, এখান থেকে আপনারা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে উন্নত জীবনের অধিকারী হবেন।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কাজ শুরু করেছিলেন। লক্ষ্মীপুরের পোড়াগাছায় তিনি এ কাজ করেছিলেন। তার কাজই আমরা এখন চালিয়ে যাচ্ছি। ে বাবা নেই, যাকে পোড়াগাছায় আশ্রয়ণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতও নেই। নিশ্চয়ই আমার বাবা জান্নাত থেকে এই কাজটি দেখছেন, খুশি হচ্ছেন। আমরা চাই একটি মানুষও যেন অযত্নে অবহেলিত না হয়, যে মানুষগুলোকে আমার বাবা সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জমি উদ্ধার, ঘর তৈরিসহ নানা অসাধ্য আপনরা সাধন করলেন। আমি আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।