নিজস্ব প্রতিনিধি:
এই ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই ফরম্যাটে তাদের বিপক্ষে খুব একটা খেলা হয় নি বাংলাদেশের। কিন্তু ঘরের মাঠে টাইগারদের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়নই বা কি অন্য দল! সবাই বাঘের সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়!
টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাও এই বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এই ফরম্যাটে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম জয় পেল টাইগাররা।
আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে ১৫৭ রানের লক্ষ্য। ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেট ও ২ ওভারে হারিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ তো পরে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দেখা হয়ই না বলতে গেলে। এই ফরম্যাটে একবারই টাইগারদের মুখোমুখি হয়েছে ইংলিশরা। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।
তবে এবার আর কোনো ভুল নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছে নতুন বাংলাদেশ। আট বছর পর আজ বাংলাদেশ একাদশে সুযোগ পেলেন রনি তালুকদার। অভিষেক হয়েছে তরুণ তৌহিদ হৃদয়ের।
নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ফর্ম চলছেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি সমালোচকদের চুপ করে দেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঝোড়ো ফিফটি করেন শান্ত।
শান্ত ২৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। তৌহিদ হৃদিয়ার শুরুটাও ভালো।
দারুণ শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। ইংলিশ বোলারদের আতঙ্কে রাখতে আট বছর পর দলে ফিরেছেন রনি তালুকদার ও ড্যাশিং লিটন দাস।
উদ্বোধনী জুটিতে ২১ বলে ৩৩ রান করেন রনি ও লিটন। আদিল রশিদের গুগলি না বুঝে বোল্ড হন রনি। ১৪ বলে ২১ রান করেন তিনি।
লিটন অবশ্য ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ১২ বলে মিড-অনে আর্চারের বলে ক্যাচ দেন তিনি। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লেতে নির্ধারিত ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৫৪ রান করে টাইগাররা।
এরপর অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তও দারুণ ব্যাটিং করেন। ৩৯ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ফিফটির পরই আউট হন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ৮ বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রান করেন এবং বোল্ড হন মার্ক উডের বলে।
কিন্তু এরপরই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব ও আফিফ হোসেন। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। সাকিব ২৪ বলে ৩৪ ও আফিফ ১৩ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ১৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান-৩ উইকেটে ১৩৫। সংগ্রহটি বেশ বড় বলে মনে হয়েছিল। তবে ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন হাসান মাহমুদ। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদও ভালো করেছেন।
১৭ থেকে ১৯ এই তিন ওভারে ইংল্যান্ড মাত্র ১২ রান করতে পেরেছিল। এতে হাসান মাহমুদের দুই ওভারে মাত্র ৫ রান করতে পারে ইংলিশরা।
জস বাটলারের দল ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে-থেমে যায়।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। স্বাগতিকদের শুরুটা ভালো ছিল।