নিজস্ব প্রতিনিধি:
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরমের সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তিকর পরিবেশে বা শুষ্ক আবহাওয়ায় ভ্যারিসেলা জোস্টার ভাইরাসের আক্রমণ একটু বেশি হয়। চিকেন পক্স একটি ছোঁয়াচে রোগ। সংক্রমণ বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চিকেন পক্স হলে শরীরে যে গুটিগুটি দেখা যায়, তরল পদার্থ ভরা ওই র্যাশগুলি প্রচণ্ড চুলকায়, শরীর ব্যথা হয় এবং অনেক সময় জ্বরও আসে। অনেক সময় মুখ এবং মুখগহ্বরে ঘা তৈরি হয়। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
তারা বলেন, নারী-পুরুষ সবাই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এই ঘটনার হার কিছুটা বেশি। বিশেষ করে, ১০ বছরের কম বয়সী। গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক ব্যক্তি এবং নবজাতকের ক্ষেত্রে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.সামিনা চৌধুরী বলেন, গর্ভাবস্থায় মায়ের চিকেন পক্স হলে গর্ভবতী শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর এই রোগ যদি প্রসবের এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়, তাহলে আরও বিপদের আশঙ্কা থাকে।
শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আল-আমিন মৃধা বলেন, চিকেন পক্স ছোট-বড় সবারই হতে পারে। তবে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। এই অস্বস্তি এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে থাকে। প্রথমে সামান্য জ্বর হতে পারে, তারপরে ফোসকা, চুলকানি হতে পারে। ফোস্কা শুকিয়ে গেলে মরা চামড়া উঠে আসে।
চিকেন পক্স হলে করণীয় সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলেন, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ভাইরাসজনিত রোগের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত একটু সচেতন হলেই কয়েকদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ত্বকের দাগ অনেকদিন থাকতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখতে হবে। আক্রান্ত শিশুদের কোনো বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন হয় না। এটি প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। শিশুকে টিকা দিতে হবে। কেউ একবার চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে তাদের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হয় না।