সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, ইতালি প্রতিনিধ:
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান-এর মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালিত হয়েছে।
মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল কর্তৃক প্রত্যূষে কনস্যুলেট চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় শোক দিবসের সূচনা হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং তার জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনটি যথাযথভাবে পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-এর সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিনটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহিদদের স্মরণে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং স্থানীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিটি পর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহানায়কোচিত নেতৃত্ব এবং তার পরিবারের মহান আত্মত্যাগকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন। একই সাথে বক্তাগণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য, বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
সমাপনী বক্তব্যে কনসাল জেনারেল জনাব এম জে এইচ জাবেদ উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বাংলাদেশের পূর্ণ অবয়ব দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তাদের জীবনমান উন্নতকরণের জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশ গঠনে প্রবাসীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ইতালিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে মিশন বদ্ধ পরিকর। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণারে ইতালীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ গণ্যমান্যদের সাথে নিয়ে নিয়মিত আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি উত্তর ইতালিতে একটি প্রসিদ্ধ রাস্তা বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের জন্য প্রবাসীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী, কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় উপস্হিত ছিলেন। পরিশেষে, শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণের জন্য দোয়া করা হয়।