নিজস্ব প্রতিনিধি:
অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ইতালিতে তার বাসভবন ফার্নান্দেস হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক কমিউনিটি রিসেপশনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে। তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীকে আবারও ভোট চেয়ে বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না, দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে। বিএনপি জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না। তাই বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ভোট কারচুপির কারণে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের ভোট দিতে যাবে কেন?’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর কীভাবে তারা ভোট চান?
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না। তারা তাদের কিছু বিদেশী প্রভুর পা চাটে এবং তারা চায় দেশের মানুষ তাদের (বিদেশি প্রভুদের) দ্বারা কষ্টভোগ করুক।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মনে করিয়ে দেন, বিএনপি কখনো দেশবাসীর কল্যাণ চায় না। বরং তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করাই তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য। তাই তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করা।
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের দ্বারা আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করেছি। আমরা এর রহস্য বুঝতে পারি না।’
যারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন করেনি তারা এখন বাংলাদেশের সাথে ভিন্ন খেলা খেলতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, যেকোনো অসৎ উদ্দেশ্যকে পরাজিত করতে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিদেশে বাংলাদেশিদের বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদার খোঁজার আহ্বান জানান, বিশেষ করে আইসিটি খাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পে।
তিনি প্রবাসীদের যে দেশে তারা থাকছে সে দেশের আইন মেনে চলার জন্য এবং বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে তার সরকারের অর্জন এবং ২০০৯ সাল থেকে দেশের অর্জিত অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।