ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) চেয়ারম্যান ড. সমীর সাত্তার বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে নবনির্বাচিত ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে ঢাকা চেম্বার ব্যারিস্টার চেয়ারম্যান জনাব সামির সাত্তা সময়োপযোগী মুদ্রানীতি ঘোষণার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উল্লেখিত সহায়ক নীতি ও নির্দেশনা দেশের বেসরকারি খাত ও আর্থিক খাতকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। তিনি কৃষি এবং আমদানি প্রতিস্থাপন শিল্পের জন্য ৫০,০০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের সাথে এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি দেশের সিএমএসএমই সেক্টরের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহ্বান জানান। এছাড়াও, তিনি তরুণ এবং উদ্ভাবনী স্টার্ট-আপগুলির জন্য ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান যাতে তারা সহজেই ঋণ পেতে পারে।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বেসরকারি খাতের অবদান বাড়াতে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে ৩টি প্রধান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যথা: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি। তবে তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী দুই থেকে এক মাসের মধ্যে এলসির বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলসি মার্জিন কমানোসহ বিভিন্ন নীতিগত পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অক্লান্ত পরিশ্রম করছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), জুনায়েদ ইবনে আলীসহ কাউন্সিলের সদস্যরা।