নিজস্ব প্রতিনিধি:
লিওলেন মেসি যেখানেই পা রাখুক না কেন সেখানে যে সোনা ফলবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিষয়টি ঠিক এমন হয়েই দাঁড়িয়েছে। নইলে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথে এতোটা মুগ্ধতা কী করে ছড়ান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা! আসলে মেসি বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর, ইন্টার মিয়ামির হয়ে অভিষেক হয় বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির। আর নতুন ক্লাবে মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি মেসির। ম্যাচের প্রথম থেকে মাঠে নামেননি তিনি। মেসি মাঠে নেমেছিলো ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে। অভিষেক ম্যাচে বদলি নেমে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল করে ২-১ গোলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি।
মেসির অভিষেক উপলক্ষে এই ম্যাচে মিয়ামি ভক্তদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা ছিল। ম্যাচের শুরুতে মেসিকে মাঠে দেখতে না পেয়ে এক প্রকার হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকেই। তবে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই ভক্তদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ঠিকই। নিজে গোল করে ৬ ম্যাচ পর দলকে জয়ের মুখ দেখালেন মেসি। এই ম্যাচে মেসির সাথে তার সাবেক বার্সা সতীর্থ সার্জিও বুসকেটসেরও অভিষেক হয়েছে।
মেসি যখন বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির বিকল্প হিসেবে মাঠে নামেন তখন মায়ামি ১-০ তে এগিয়ে ছিল। এর কিছুক্ষণ পরই সমতায় ফেরেন মেক্সিকান ক্লাব ক্রুজ আজুল।সমতায় শেষ হতে যাওয়া ম্যাচে মিয়ামিকে জয়ের মুখ দেখান মেসি। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে এসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন তিনি।
২২ জুলাই শনিবার ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোরে ক্রুজ আজুলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইন্টার মায়ামি। ঘরের মাঠে মায়ামি লিগ কাপের ম্যাচে প্রথম মাঠে নামলেন মেসি। মেসিকে মাঠে নামানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তার সাবেক সতীর্থকেও মাঠে নামান ইন্টার কোচ টাটা মার্টিনো। প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই শুরুতেই বিপদের মুখে পড়েন মেসি। প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা মায়ামি তার মাঠে নামার ১০ মিনিটের মাথায় লিড হারায়। তবে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে জয় এনে দেন মেসি। অভিষেক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে ৬ ম্যাচ পর দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান মেসি। অভিষেক ম্যাচের ইনজুরি টাইমে গোল করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবল ম্যাজিশিয়ান যা তার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিষেক এর মধ্যে অন্যতম।