অতিরিক্ত ঘাম হলে করণীয়

অতিরিক্ত ঘাম হলে করণীয়

লাইফস্টাইল

নিজস্ব প্রতিনিধি:
গরমে শরীর থেকে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। ঘামের সাথে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ঘামলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে আসবে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।

তবে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। এটি বিভিন্ন শারীরিক রোগের উপসর্গও হতে পারে। অনেকের আবার মুখ এবং শরীরের চেয়ে তাদের হাতের তালু এবং পায়ের পাতায় বেশি ঘামে। একে হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়।
সবাই স্বাভাবিকভাবে ঘামে। ঘাম একটি অপরিহার্য শরীরের প্রক্রিয়া। বরং ঘাম না হওয়া অনেক সময় গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ।
তাই অতিরিক্ত ঘাম হওয়াও কিছু শারীরিক রোগের লক্ষণ আবার ঘাম না হলেও শরীরে নানা রোগ হতে পারে। আর গরম ছাড়াই ঘাম হলে তা মারাত্মক রোগের লক্ষণ।

অতিরিক্ত ঘামের কারণ কী?

১. অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে যখন কেউ অতিরিক্ত ব্যায়াম করে, নার্ভাস হয় বা রোদে থাকে।
২. পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত চাপের ফলেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
৩. মশলাদার, নোনতা বা তৈলাক্ত খাবারের অত্যধিক সেবনের ফলেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
৪. আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্রকলি, পেঁয়াজ এবং খাবারে অতিরিক্ত লবণের কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
৫. শারীরিক দুর্বলতার কারণে ঘাম বেশি হয়।
৬. পাউডার ব্যবহার করলে ঘাম নির্মূল করার পরিবর্তে বৃদ্ধি পায়।
৭. অতিরিক্ত ধূমপানের ফলেও ঘাম হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা সমাধানে যা করবেন-

>> ঘামের সঙ্গে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, বাইকার্বোনেট বের হলে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে ওঠে, তাই পানির সঙ্গে লবণ ও লেবু মিশিয়ে শরবত পান করা ভালো।

>> গরমে টক দই খেতে পারেন।

>> ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে তাজা ফলের রস পান করুন।

>> পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

>> ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে হাইপারহাইড্রোসিস হয়, তাই বি-কমপ্লেক্স খাবার খান।

>> থাইরয়েড আছে কি না তা দেখতে রক্ত পরীক্ষা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *